বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গা পুজো আসতে আর মাত্র কয়েকটা দিন বাকি। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশ জুড়ে ক’রোনা পরিস্থিতির মতো এক জটিল সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক। তবে এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও বাঙালির সবচেয়ে বড় ও শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো শুরু হতে আর বেশি দেরি নেই। মহালয়া আগেই হয়েছে এবছর। মহাষষ্ঠী ২২শে অক্টোবর।






তবে রাজ্য সরকার ক’রোনার মতো কঠিন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, যাতে সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে সুষ্ঠুভাবে দূর্গোপূজো পালন হয়, সেদিকে নজর দিতে চাইছে। আর তাই রাজ্য সরকার দুর্গাপুজো পালনের ক্ষেত্রে কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করেছেন। যেখানে কিছু বিধি নিষেধ ও নিয়ম থাকবে যা প্রত্যেকটি পুজো মণ্ডপ ও মানুষদের অবশ্যই মানতে হবে।






১) প্রথমত প্রত্যেকটি পুজো কমিটিগুলিকে খোলামেলা ও বড় প্যান্ডেল করতে হবে যেখানে ঢোকা ও বেরোনোর গেট আলাদা রাখতে হবে।
২) প্রত্যেকটি দর্শককে অবশ্যই প্যান্ডেলে মা’স্ক পরে আসতে হবে। কোনো কারণে যদি কেউ মা’স্ক পরে না আসে তাহলে সেক্ষেত্রে পুজো কমিটিকে মা’স্কের ব্যবস্থা করতে হবে। আর সেজন্যই প্যান্ডেল কর্তৃপক্ষকে পর্যাপ্ত পরিমাণ মা’স্কের ব্যবস্থা রাখতে হবে। আর সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণের হ্যান্ড স্যা’নিটাইজার এর ব্যবস্থাও রাখতে হবে।






৩) পুজো মণ্ডপে অথবা তার আশপাশে কোনো জায়গায় কোনো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না।
৪) সেরা পুজো বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বিচারকদের বড় দল এসে মণ্ডপে ভিড় করা যাবে না, বরং সেরা পুজো বাছাইয়ের কাজ যদি ভার্চুয়ালি করা যায় তাহলে সেটাই ভালো হবে। পুজো মন্ডপে এলে তার সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো।
৫) সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ও বৈদ্যুতিক উপায়ে প্রতিনিয়ত পুজোর সম্প্রচার করতে হবে।
৬) পুজোর উদ্বোধন থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত সমস্ত আচার অনুষ্ঠান খুবই কম সংখ্যক লোক নিয়ে করতে হবে। পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান যতটা সম্ভব ভার্চুয়াল করতে হবে।






৭) পুজো সহ তৎসংলগ্ন সমস্ত ধরনের অনুমোদন অনলাইনে করতে হবে।
৮) ভিড় এড়ানোর জন্য আরও বেশি দিন ধরে পূজো মণ্ডপ গুলি খোলা রাখা যেতে পারে। তাই এই বছর তৃতীয়া থেকেই পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হতে পারে।
৯) এবার দুর্গাপুজোর পরে কোনও কার্নিভাল হবে না।
১০) সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সমস্ত নীতি ও নির্দেশ মেনে চলতে হবে পুজো কমিটিগুলিকে এবং দর্শকদের। একটিও নিয়মের অন্যথা করা যাবে না।